বুখারী শরীফ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلَاةٍ
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার উম্মাতের উপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় দাঁতন (মেসওয়াক) করার নির্দেশ করতাম।” [বুখারী: ৮৮৭, মুসলিম: ৫৮৯]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَوْصِنِي. قَالَ: لَا تَغْضَبْ، فَرَدَّدَ مِرَارًا، قَالَ: لَا تَغْضَبْ” . [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ: 6116]
আবূ হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল: আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন: “রাগ করো না”। লোকটি বার বার রাসূলের নিকট উপেদশ চায় আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “রাগ করো না”। [বুখারী: ৬১১৬]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ صَخْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْت رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَقُولُ: “مَا نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ فَاجْتَنِبُوهُ، وَمَا أَمَرْتُكُمْ بِهِ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ كَثْرَةُ مَسَائِلِهِمْ وَاخْتِلَافُهُمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ”. [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ , رقم: 7288 ، وَمُسْلِمٌ , رقم: 1337]
আবূ হুরায়রা আব্দুর রহমান বিন সাখর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “আমি তোমাদেরকে যেসব বিষয় নিষেধ করেছি, তা থেকে বিরত থাক। আর যেসব বিষয়ে আদেশ করেছি, যথাসম্ভব তা পালন কর। বেশী বেশী প্রশ্ন করা আর নবীদের সথে মত বিরোধ করা তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ধ্বংস করে দিয়েছে।” [বুখারীঃ ৭২৮৮, মুসলিমঃ ১৩৩৭]
উত্তম কথা, প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হওয়া ও অতিথিকে সম্মান করার ফযীলত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ: “مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاَللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاَللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ جَارَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاَللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ”. [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ, رقم: 6018، وَمُسْلِمٌ, رقم: 47]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, তার হয় উত্তম কথা বলা উচিত অথবা চুপ থাকা উচিত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, আপন প্রতিবেশীর প্রতি তার সদয় হওয়া উচিত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, আপন অতিথিকে তার সম্মান করা উচিত।” [বুখারীঃ ৬০১৮, মুসলিমঃ ৪৭]
আযানের দো’আ ও তার ফযীলত
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “যে ব্যক্তি আহ্বান (আযান) শোনার পর বলবে: আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ্ দা’ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস্সলাতিল্ ক্বা-য়িমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল্ ওয়াসী-লাতা ওয়ালফাদী-লাহ্ ওয়াব’আসহু- মাক্বা-মাম্ মাহমূদাল্লাযী-ওয়া’আদতাহ্ (অর্থাৎ, হে আল্লাহ্! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মান ও উচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাঁকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন।) –তার জন্য কেয়ামতের দিন আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।” [বুখারী: ৫৮৯]
অযূ-গোসলে পানি পরিমিত খরচ করা
عَنْ أَنَسٍ قَالَ (( كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ أَوْ كَانَ يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ )) [ متفق عليه : 201 – 737]
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা’ হতে পাঁচ মুদ (কম-বেশী ২৫০০ থেকে ৩১২৫ গ্রাম) পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল এবং এক মুদ (কম-বেশী ৬২৫ গ্রাম) পানি দিয়ে অযূ করতেন।” [বুখারী: ২০১, মুসলিম: ৭৩৭]
অযূর পর দু’রাকা’আত নামায পড়া
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : (( مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لَا يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ )) . [متفق عليه ، حديث حمران مولى عثمان رضي الله عنهما : 150 – 539]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমার ন্যায় এরূপ অযূ করে একাগ্রচিত্তে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [হাদীসটি হুমরান ও উসমান রাদিয়াল্লাহু 'আনহুমা থেবে র্বণিত, বুখারী: ১৫৯, মুসলিম: ৫৩৯]
শোয়ার সময় তাকবীর ও তাসবীহ পাঠ করা
عَنْ عَلِيٍّ رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم – قال حين طلب منه فاطمة رضي الله عنها – خادماً : ((أَلَا أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ إِذَا أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا أَوْ أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا فَكَبِّرَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَسَبِّحَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَاحْمَدَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَهَذَا خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ .))
[متفق عليه : 6318 – 6915]
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট একটি চাকর চাইলে তিনি বললেন: ‘আমি কি তোমাদের দু’জনকে এমন জিনিস বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য চাকরের চেয়েও উত্তম? তোমরা যখন বিছানায় শুতে যাবে অথবা শয্যা গ্রহণ করবে, তখন ৩৪ বার আল্লাহু আকবার, ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ্ এবং ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্ পড়বে। এটা তোমাদের জন্য চাকরের চেয়েও উত্তম।
[বুখারী: ৬৩১৮, মুসলিম: ৬৯১৫]
ঘুমের পূর্বে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়া
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ وَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ .
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে শয্যা গ্রহণের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা আল-ইখলাস) এবং ‘ক্বুল ‘আউযুবি রব্বিল ফালাক্ব’ (সূরা আল-ফালাক) এবং ‘ক্বুল আ’উযু বিরব্বিন্ নাস’ (সূরা আন-নাস) পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর হাতদ্বয় দ্বারা শরীরের যতদূর পর্যন্ত বুলানো সম্ভব হত, ততদূর পর্যন্ত বুলিয়ে নিতেন। স্বীয় মাথা, চেহারা ও শরীরের সামনের দিক থেকে আরম্ভ করতেন। এভাবে তিনি তিন বার করতেন।” [বুখারী: ৫০১৭]
অযূ অবস্থায় শয্যা গ্রহণ করা
عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الْأَيْمَنِ .
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারা ইবনে ‘আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেন: “যখন তুমি তোমার শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করবে, তখন সালাতের ন্যায় অযূ করে ডান কাত হয়ে শয়ন করবে।”
[বুখারী: ৬৩১১, মুসলিম: ৬৮৮২]
আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]
আল্লাহ্ কালেমা তাইয়্যেবার দ্বারা মুমিনদেরকে ইহ ও পরকালে সুদৃঢ় রাখেন
শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে সালাতের জন্য আসা
আল্লাহর রহমত তাঁর ক্রোধের উপর বিজয়ী
عن أبي هريرة، رضي الله عنه، قال: قال رسول الله، صلى الله عليه وسلم: لما خلق الله الخلق، كتب في كتابٍ، فهو عنده فوق العرش: إن رحمتي تغلب غضبي. وفي روايةٍ غلبت غضبي وفي روايةٍ سبقت غضبي متفق عليه.
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ যখন সমস্ত মাখলুক সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর কাছে ‘আরশের উপর বিদ্যমান একটি কিতাবে লিখে রাখেনঃ আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী হবে। অপর বর্ণনায় আছেঃ (আমার দয়া-অনুগ্রহ) আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী হয়েছে। আরেক বর্ণনায় আছেঃ (আমার অনুকম্পা ) আমার ক্রোধের উপর অগ্রগামী হয়েছে।” [মুত্তাফাকুন 'আলাইহি, বুখারী: ৩১৯৪ ও মুসলিম: ২৭৫১]
জাহান্নামের সবচেয়ে লঘু শাস্তি!
عن النعمان بن بشيرٍ، رضي الله عنهما، قال: سمعت رسول الله، صلى الله عليه وسلم، يقول: إن أهون أهل النار عذاباً يوم القيامة لرجلٌ يوضع في أخمص قدميه جمرتان يغلي منهما دماغه ما يرى أن أحداً اشد منه عذاباً، وإنه لأهونهم عذاباً متفق عليه.
নু’মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে লঘু শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি হবে এই যে, তার দুই পায়ের তালুর নিচে আগুনের দু’টি অংগার রাখা হবে এবং তাতে তার মস্তিষ্ক সিদ্ধ হতে থাকবে। সে মনে করবে, তার চাইতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আর কেউ হয়নি। অথচ সে-ই জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে হালকা শাস্তিপ্রাপ্ত।” (ইমাম বুখারী: ৬৫৬২ ও ইমাম মুসলিম: ২১৩ এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন)
সৃষ্টির ধারা ও ভাগ্যের ভালো-মন্দ
عن ابن مسعودٍ، رضي الله عنه، قال: حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهو الصادق المصدوق: إن أحدكم يجمع خلقه في بطن أمه أربعين يوماً نطفةً، ثم يكون علقةً مثل ذلك، ثم يكون مضغةً مثل ذلك، ثم يرسل الملك، فينفخ فيه الروح، ويؤمر بأربع كلماتٍ: بكتب رزقه، وأجله، وعمله، وشقيٌ أو سعيدٌ. فوالذي لا إله غيره إن أحدكم ليعمل بعمل أهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها إلا ذراعٌ، فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعملٍ أهل النار فيدخلها وإن أحدكم ليعمل بعمل أهل النار حتى ما يكون بينه وبينها إلا ذراعٌ، فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل أهل الجنة فيدخلها متفقٌ عليه.
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বসমর্থিত সত্যবাদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছেনঃ “তোমাদের প্রত্যেককে তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত শুক্র আকারে জমা রাখা হয়। অতঃপর তা রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়ে এই পরিমাণ সময় থাকে এবং পরে তা মাংসপিণ্ড আকারে অনুরূপ সময় জমা রাখা হয়। অতঃপর একজন ফেরেশতা পাঠানো হয়। তিনি তাতে আত্মা ফুঁকে দেন এবং চারটি বিষয় লেখার আদেশ করা হয়। তাহলোঃ তার রিযিক, তার হায়াত, তার আমল ও সে দুর্ভাগ্যবান হবে অথবা সৌভাগ্যবান হবে। সেই সত্তার শপথ যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই! তোমাদের কেউ জান্নাতবাসীদের আমল করবে, এমনকি তার মাঝে ও জান্নাতের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকবে। অতঃপর তার কিতাবের লিখন সামনে এসে উপস্থিত হবে। ফলে সে জাহান্নামীদের আমল করবে এবং তাতে প্রবেশ করবে। আর তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের কাজ করবে, এমনকি তার মাঝে ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকবে। অতঃপর তার কিতাবের লিখন সামনে এসে উপস্থিত হবে। ফলে সে জান্নাতীদের আমল করবে এবং তাতে প্রবেশ করবে।” (ইমাম বুখারী: ৩২০৮ ও ইমাম মুসলিম: ২৬৪৩ এ হাদীস রিওয়ায়েত করেছেন।)
খোৎবা চলাকালীন সময়েও দু’রাকা’আত আদায় না করে বসবে না
সালাত অবস্থায় কোমরে হাত রাখা নিষেধ
অযূর ফযীলত
লোক দেখানো ও শোনানো ইবাদাত আল্লাহ্ প্রকাশ করে দিবেন
কালিজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ
হাশরের ময়দানে মানুষ তিন দলে বিভক্ত হবে
মৃত্যু যাতনা অনিবার্য
নিয়মিত সৎকর্ম আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয়
রাসূল (সা)-এর প্রতি ভালবাসা ঈমানের অংশ
عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেও এ হাদীসখানা বর্ণিত হয়েছে, সেখানে এ বর্ণনার শেষে আরো বলা হয়েছে: “তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হয় না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা ও তার সন্তান এবং সমস্ত মানুষের চেয়েও অধিক প্রিয়তর হই।” [বুখারী: ১৫]
রাসূল (সা)-এর প্রতি ভালবাসা পোষণ ঈমানের অংশ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ঐ সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হয় না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা ও তার সন্তানের চেয়েও প্রিয়তর হই।” [বুখারী: ১৪]
No comments:
Post a Comment